আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা আহসানিয়া মিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯৫ সালে বেসরকারী খাতে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিছুদিন আগেও তেজতুরী বাজারে ছোট পরিসরের ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হত। তবে এখন নিজস্ব ক্যাম্পাসে তেজগাঁও শিল্প এলাকার নিজস্ব ক্যাম্পাসে এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঠিকানা
শুরুতে
প্লট ১৪১-১৪২, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
যোগাযোগ
শুরুতে
ফোন: ৮৮০-২-৯১২০২৪৮, ৮৮০-২-৯১১৫৪৬১, ৮৮০-২-৯১৩০৬১৩
ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯১৩০৫০৮, ৮৮০-২-৯৮৬০৫৬৪
ই-মেইল: vc@aust.edu, regr@aust.edu
ওয়েবসাইট: www.aust.edu
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলো:
প্রকৌশল অনুষদ
এ অনুষদের অধীনে পরিচালিত কোর্সগুলো:
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই)
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই)
মাস্টার অব সায়েন্স ইন ম্যাথমেটিকস
স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ
ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার
ব্যবসা এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদঃ
ব্যাচেলর অব বিজনেস এ্যাডমিনস্ট্রেশন
মাস্টার অব বিজনেস এ্যাডমিনস্ট্রেশন
শিক্ষা অনুষদ
ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড)
মাস্টার অব এডুকেশন (এমএড)
ইনস্টিটিউট
এছাড়া কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধীনে প্রকৌশল ডিপ্লোমা কোর্স আছে এখানে:
আর্কিটেকচার টেকনোলজি
সিভিল টেননোলজি
কম্পিউটার টেকনোলজি
ইলেকট্রিকাল টেকনোলজি
ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
কেমিকেল টেকনোলজি
ভর্তি
শুরুতে
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি:
চার বছর মেয়াদী প্রকৌশল কোর্সগুলোয় ভর্তির ক্ষেত্রে
গণিতসহ এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ হতে হবে
জিসিই ও লেভেলে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, বাংলা ও ইংরেজী থাকতে হবে, সে সাথে এ লেভেলে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন বিজ্ঞান থাকতে হবে।
প্রকৌশলে ডিপ্লোমাধারীরাও আবেদন করতে পারেন
সমতূল্য কোর্সের ক্ষেত্রে এইচএসসি সমতূল্য কোর্সে অন্তত জিপিএ ৩.৫ এবং এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে জিপিএ ৮.০ থাকতে হবে।
স্থাপত্যবিদ্যায় ভর্তি
পাঁচ বছর মেয়াদী স্থাপত্যবিদ্যায় ভর্তির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে এক্ষেত্রে প্রকৌশলে ডিপ্লোমাধারীরা নয় কেবল স্থাপত্যবিদ্যায় ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন।
ব্যবসা প্রশাসনে ভর্তি:
যেকোন বিভাগ থেকে এইচএসসি বা ডিপ্লোমা পাশ করে ব্যবসা প্রশাসনে ভর্তি হওয়া যায়। ও লেভেলে পাঁচ এবং এ লেভেলে তিনটি বিষয় থাকলেও ভর্তি হওয়া যায়। আর সমতূল্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে এইচএসসিতে জিপিএ ৩.৫ এবং এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে জিপিএ ৭ থাকতে হবে।
ফরম সংগ্রহ
শুরুতে
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে হয়। ভর্তি ফরমের দাম ৫০০ টাকা, আর রেজিস্ট্রার অফিস শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে।
ভর্তির জন্য নির্বাচন:
শুরুতে
এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমতূ্ল্য পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য মেধা তালিকা তৈরি করা হয়।
তবে যাদের এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ ৫.০০ আছে তাদের আগে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়।
ব্যাচেলর প্রোগ্রামে পড়াশোনার খরচ
কোর্সের নাম
|
টাকায়
| |||
সিভিলইঞ্জিনিয়ারিংএবংকম্পিউটচারসায়েন্স
|
স্থাপত্যবিদ্যা
|
মেকানিক্যাল এবংপ্রোডাকশনইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এবংইলেকট্রনিকসইঞ্জিনিয়ারিং
|
ব্যবসাপ্রশাসন
| |
প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি ফি
|
৫,৪০০.০০
|
৫,৬২৫.০০
|
৬,৮৭৫.০০
|
৫,৪০০.০০
|
রেজিস্ট্রেশন ফি (পুরো কোর্সে একবার)
|
১৮,০০০
|
১৮,৭৫০.০০
|
১৮,৭৫০.০০
|
১২,০০০.০০
|
উন্নয়ন ফি
|
১৬,৮০০.০০
|
১৭,৫০০.০০
|
১৭,৫০০.০০
|
১৬,৮০০.০০
|
প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি
|
২৬,৪০০.০০
|
২৭,৫০০.০০
|
২৭,৫০০.০০
|
২৬,৪০০.০০
|
প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি
|
৮,৪০০.০০
|
৮,৭৫০.০০
|
১০,০০০.০০
|
১,২০০.০০
|
পুন:ভর্তির ক্ষেত্রে সেমিস্টারে রেজিষ্ট্রেশন ফি
|
৬,০০০.০০
|
৬,০০০.০০
|
৬,০০০.০০
|
৫,০০০.০০
|
পুনরায় কোর্স করতে হলে টিউশন ফি
|
৪,৮০০.০০
|
৫,০০০.০০
|
৫,০০০.০০
|
৪,৮০০.০০
|
পুন ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারের ব্যবহারিক ফি
|
৭,৫০০.০০
|
৭,৫০০.০০
|
৭,৫০০.০০
|
--
|
ক্যারি ওভার পরীক্ষার জন্য প্রতি সেমিস্টারের এনরোলমেন্ট ফি
|
৮০০.০০
|
৮০০.০০
|
৮০০.০০
|
৮০০.০০
|
মানোন্নয়ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে এনরোলমেন্ট ফি
|
১,০০০.০০
|
১,০০০.০০
|
১,০০০.০০
|
১,০০০.০০
|
ভর্তি ফি
--
|
টাকায়
| |||
সিভিলইঞ্জিনিয়ারিংএবংকম্পিউটারসায়েন্স
|
স্থাপত্যবিদ্যা
|
মেকানিক্যাল এবংপ্রোডাকশনইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এবংইলেকট্রনিকসইঞ্জিনিয়ারিং
|
ব্যবসাপ্রশাসন
| |
ভর্তি ফি
|
৫,৪০০.০০
|
৫,৬২৫.০০
|
৬,৮৭৫.০০
|
৫,৪০০.০০
|
রেজিষ্ট্রেশন ফি
|
১৮,০০০.০০
|
১৮,৭৫০.০০
|
১৮,৭৫০.০০
|
১২,০০০.০০
|
উন্নয়ন ফি
|
১৬,৮০০.০০
|
১৭,৫০০.০০
|
১৭,৫০০.০০
|
১৬,৮০০.০০
|
টিউশন ফি
|
২৬,৪০০.০০
|
২৭,৫০০.০০
|
২৭,৫০০.০০
|
২৬,৪০০.০০
|
ল্যাবরেটরী ফি
|
৮,৪০০.০০
|
৮,৭৫০.০০
|
১০,০০০.০০
|
১,২০০.০০
|
মোট
|
৭৫,০০০.০০
|
৭৮,১২৫.০০
|
৮০,৬২৫.০০
|
৬১,৮০০.০০
|
সেমিস্টার ফি’র ধরন
--
|
টাকায়
| |||
সিভিলইঞ্জিনিয়ারিংএবংকম্পিউটারসায়েন্স
|
স্থাপত্যবিদ্যা
|
মেকানিক্যাল এবংপ্রোডাকশনইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এবংইলেকট্রনিকসইঞ্জিনিয়ারিং
|
ব্যবসাপ্রশাসন
| |
ভর্তি ফি
|
৫,৪০০.০০
|
৫,৬২৫.০০
|
৬,৮৭৫.০০
|
৫,৪০০.০০
|
স্থাপনা ফি
|
১৬,৮০০.০০
|
১৭,৫০০.০০
|
১৭,৫০০.০০
|
১৬,৮০০.০০
|
টিউশন ফি
|
২৬,৪০০.০০
|
২৭,৫০০.০০
|
২৭,৫০০.০০
|
২৬,৪০০.০০
|
ল্যাবরেটরী ফি
|
৮,৪০০.০০
|
৮,৭৫০.০০
|
১০,০০০.০০
|
১,২০০.০০
|
মোট:
|
৫৭,০০০.০০
|
৫৯,৩৭৫.০০
|
৬১,৮৭৫.০০
|
৪৯,৮০০.০০
|
এমবিএ প্রোগ্রামের খরচ:
এমবিএ এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএ কোর্সের খরচ:
খরচের খাত
|
এমবিএ
|
এক্সিকিউটিভ এমবিএ
|
রেজিষ্ট্রেশন ফি
|
১৯,৫০০ টাকা
|
১৯,৫০০ টাকা
|
স্থাপনা মাশুল (প্রতি সেমাস্টারে)
|
১৩,০০০ টাকা
|
১৩,০০০ টাকা
|
ভর্তি ফি (প্রতি সেমিস্টারে)
|
১৩,০০০ টাকা
|
১০,৪০০ টাকা
|
টিউশন ফি (প্রতি সেমিস্টারে)
|
৭৮,০০০ টাকা
(১,৩০০×৬০)
|
৬২,৪০০ টাকা
(১,৩০০×৪৮)
|
মোট
|
১,২৩,৫০০ টাকা
|
১,০৫,৩০০ টাকা
|
পেমেন্ট শিডিউল (এমবিএ)
পেমেন্ট
|
১ম সেমিস্টার
|
২য় সেমিস্টার
|
৩য় সেমিস্টার
|
ভর্তির সময়
|
২২,৭৫০ টাকা
(রেজিষ্ট্রেশন, স্থাপনা এবং ভর্তি ফি)
|
২২,৭৫০ টাকা
(রেজিষ্ট্রেশন, স্থাপনা এবং ভর্তি ফি)
|
কেবল টিউশন ফি
(১৩০০ × ক্রেডিট সংখ্যা)
|
সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে
|
টিউশন ফি (১৩০০ × ক্রেডিট সংখ্যা)
|
টিউশন ফি (১৩০০ × ক্রেডিট সংখ্যা)
| |
মোট
|
২২,৭৫০ টাকা+প্রদেয় টিউশন ফি
|
২২,৭৫০ টাকা+প্রদেয় টিউশন ফি
|
প্রদেয় টিউশন ফি
|
পেমেন্ট শিডিউল (এক্সিকিউটিভ এমবিএ)
পেমেন্ট
|
১ম সেমিস্টার
|
২য় সেমিস্টার
|
৩য় সেমিস্টার
|
ভর্তির সময়
|
২১,৪৫০ টাকা
(রেজিষ্ট্রেশন, স্থাপনা এবং ভর্তি ফি)
|
২১,৪৫০ টাকা
(রেজিষ্ট্রেশন, স্থাপনা এবং ভর্তি ফি)
|
কেবল টিউশন ফি
(১৩০০ × ক্রেডিট সংখ্যা)
|
সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে
|
টিউশন ফি (১৩০০ × ক্রেডিট সংখ্যা)
|
টিউশন ফি (১৩০০ × ক্রেডিট সংখ্যা)
| |
মোট
|
২১,৪৫০ টাকা+প্রদেয় টিউশন ফি
|
২১,৪৫০ টাকা+প্রদেয় টিউশন ফি
|
প্রদেয় টিউশন ফি
|
- ভর্তির সময় রেজিস্ট্রেশন ফি, স্থাপনা ফি এবং ভর্তি ফি এর অর্ধেক বাবদ ২১,৪৫০ টাকা দিতে হয়। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থী একটি সেমিস্টারের জন্য কয়টি বিষয় নির্ধারন করলো তার ওপর টিউশন ফি নির্ভর করে।
আর্থিক সহায়তা
- ফুল ফ্রি: বিশ্ববিদ্যালয়টির বিধান মোতাবেক শতকরা পাঁচভাগ শিক্ষার্থী বিনা বেতনে পাড়াশোনার সুযোগ পায়। প্রতি সেমিস্টার পরীক্ষার পর পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এই সুবিধা দেয়া হয়।
- হাফ ফ্রি: এক্ষেত্রেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিতি করে এ সুবিধা দেয়া হয়। তবে হাফ ফ্রি সুবিধা নিতে চাইলে আবেদন করতে হয়। ক্লাসে উপস্থিতি অন্তত ৬০% না হলে আবেদন বিবেচনায় নেয়া হয় না।
- আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কল্যাণ তাহবিল থেকে সাহায্য করা হয়।
- একজন অভিভাবকের দু’টি সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে একজন হাফ ফ্রি সুবিধা পেতে পারে।
- স্পন্সরের সুপারিশে ১% শিক্ষার্থী ফুল ফ্রি সুবিধা পায়।
- দাতা সংস্থার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়।
লাইব্রেরী
নিজস্ব নতুন ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টির লাইব্রেরীটিও একটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এখানে ২০০ জন একসাথে বসে পড়াশোনা করতে পারে। গবেষক এবং শিক্ষকবৃন্দের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। লাইব্রেরীটিতে ওপেন শেলভ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, অর্থাৎ ব্যবহারকারী নিজেই শেলফ থেকে বই বা ম্যাগাজিন নেড়েচেড়ে দেখেন এবং পড়ার প্রয়োজন হলে নামিয়ে আনেন। এছাড়া লাইব্রেরীর কর্মীগণ প্রয়োজনে সাহায্য করেন। শীঘ্রই গবেষণা কাজে সুবিধার জন্য লাইব্রেরীতে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয়টির লাইব্রেরী এখন বাংলাদেশ আইএনএএসপি/পিইআরআই কনসোর্টিয়ামের সাথে যুক্ত হয়েছে। ফলে লাইব্রেরী ব্যবহারকারীরা আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত বহু বই এবং জার্নালের ইলেকট্রনিক সংস্করণ পাঠ এবং ডাউনলোডের সুযোগ পাচ্ছেন।