আহসান মঞ্জিল ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রাসাদ। নওয়াব স্যার আহসানুল্লাহর নামানুসারে এই প্রসাদের নামকরণ হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব স্যার আবদুল গণি। প্রতিষ্ঠাতাকাল ১৮৭২। ১৬ বছর পর প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। তাতে এটি প্রায় ভেঙ্গে পড়ে। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি একটি জাদুঘর। এই প্রাসাদের ছাদের উপর সুন্দর একটি গম্বুজ আছে। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে। এই উপমহাদেশের ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী আহসান মঞ্জিল দেশ-বিদেশের বহু বিখ্যাত ব্যাক্তি আতিথ্য গ্রহণ করেছেন কিংবা রাজনৈতিক বৈঠক করেছেন। ১৯০৬ সালে এখানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লর্ড কার্জনসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এখানে আতিথ্য গ্রহণ করেন। এসব ঐতিহাসিক স্মৃতি ধারণ করে টিকে আছে আহসান মঞ্জিল।[১]
dhaka Ahsan Manjil আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিল ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রাসাদ। নওয়াব স্যার আহসানুল্লাহর নামানুসারে এই প্রসাদের নামকরণ হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব স্যার আবদুল গণি। প্রতিষ্ঠাতাকাল ১৮৭২। ১৬ বছর পর প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। তাতে এটি প্রায় ভেঙ্গে পড়ে। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি একটি জাদুঘর। এই প্রাসাদের ছাদের উপর সুন্দর একটি গম্বুজ আছে। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে। এই উপমহাদেশের ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী আহসান মঞ্জিল দেশ-বিদেশের বহু বিখ্যাত ব্যাক্তি আতিথ্য গ্রহণ করেছেন কিংবা রাজনৈতিক বৈঠক করেছেন। ১৯০৬ সালে এখানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লর্ড কার্জনসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এখানে আতিথ্য গ্রহণ করেন। এসব ঐতিহাসিক স্মৃতি ধারণ করে টিকে আছে আহসান মঞ্জিল।[১]