Powered by Blogger.

Related Post

Translate

Search This Blog

নরসিংদী জেলা[Narsingdi district]


নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

পরিচ্ছেদসমূহ

  •  ভৌগোলিক সীমানা
  •  প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
  •  অর্থনীতি
  •  চিত্তাকর্ষক স্থানসমূহ
  •  আনুষঙ্গিক নিবন্ধ



নরসিংদী জেলা
প্রশাসনিক বিভাগঢাকা
আয়তন (বর্গ কিমি)১,১৪০
জনসংখ্যামোট: ১৮,৯১,২৮৮
পুরুষ: ৫০.৭৭%
মহিলা: ৪৯.২৩%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা:বিশ্ববিদ্যালয়: ০
কলেজ : ২২
মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১৬৪
মাদ্রাসা : ১২২৯
শিক্ষার হার২৯.৫৭%
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বশহীদ আসাদ, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শামসুর রাহমান
প্রধান শস্যধান, পাট, গম, কলা
রপ্তানী পণ্যপাট, বাঁশ, লুঙ্গি, কলা, শারি




ভৌগোলিক সীমানা

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীর বিধৌত জেলা নরসিংদী। জেলাটির আয়তন ১,১১৪.২০ বর্গ কি:মি:। এ জেলাটি বাংলাদেশের মধ্য পূর্বাংশে অবস্থিত। এটি ২৩°৪৬’ হতে ২৪°১৪’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০°৩৫’ ও ৯০°৬০’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

নরসিংদী জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে। সেগুলো হল -
  • বেলাবো উপজেলা
  • মনোহরদী উপজেলা
  • শিবপুর উপজেলা
  • রায়পুরা উপজেলা
  • পলাশ উপজেলা
  • নরসিংদী সদর উপজেলা


কথিত আছে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলটি নরসিংহ নামক একজন রাজার শাসনাধীন ছিল। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রাজা নরসিংহ প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেন। তারই নাম অনুসারে নরসিংদী নামটি আর্বিভূত হয়। কালের বিবর্তনে ব্রহ্মপুত্র নদে অসংখ্য চর পড়ে বসতি গড়ে উঠে। বতর্মানে সেটি নগর নরসিংহপুর মৌজা ও নরসিংহারচর গ্রাম নামে পরিচিতি। নরসিংহ নামের সাথে ‘দী’ যুক্ত হয়ে নরসিংহদী হয়েছে। নরসিংহদী শব্দের পরিবর্তিত রূপই বর্তমান -‘নরসিংদী’।

পরবর্তীতে নরসিংদী জেলার এ অঞ্চলটি মহেশ্বরদী পরগণার অর্ন্তভূক্ত ছিল। এ পরগণার জমিদার ছিলেন দেওয়ান ঈশা খাঁ। জমিদার হিসেবে পরবর্তীতে আসেন দেওয়ান শরীফ খাঁ ও আয়শা আক্তার খাতুন। জমিদারী প্রথা বিলোপের পর একসময় নরসিংদী ছিল প্রশাসনিকভাবে ঢাকা জেলাধীন নারায়ণগঞ্জ মহকুমার একটি থানা। ১৯৭৭ সালে ঢাকা জেলার একটি মহকুমায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব এবং রায়পুরা এ ৬টি উপজেলা এবং নরসিংদী পৌরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং শুরু হয় জেলার অগ্রযাত্রা।

অর্থনীতি

চিত্তাকর্ষক স্থানসমূহ

ওয়ারী বটেশ্বরঃ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার অমলাব ইউনিয়নে অবস্হিত। অসম রাজার গড় নামে এটি সমাধিক পরিচিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকগণ ধারণা করেন যে এটি প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। এখানে প্রাচীন শিলালিপি, মূদ্রাসহ অনেক প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্বাবধানে এখনো খনন কাজ চলছে। এখানে পর্যটকদের জন্য রেষ্ট হাউস করা হচ্ছে।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যাদুঘরঃ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরসেনানী বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের জন্মস্হান জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অনবদ্য ভূমিকাকে স্বীকার করে ও তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াসে এখানে স্হাপিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যাদুঘর।
সোনাইমুড়ি টেকঃ লালমাটির পাহাড়ী টিলা সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সোনাইমুড়ি টেক অন্যতম দর্শণীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পাশে জেলার শিবপুর উপজেলায় অবস্হিত। শীতকালে বনভোজনের ধুম পড়ে যায় স্থানটিতে।
আশ্রাবপুর মসজিদঃ আশ্রাবপুরে নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের রাজত্বকালে নির্মিত অতি প্রাচীন মসজিদ হিসেবে আশ্রাবপুর মসজিদটির বেশ সুনাম রয়েছে। এটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার আশ্রবপুরে অবস্হিত।
বেলাব বাজার জামে মসজিদঃ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা সদরে অবস্হিত আধুনিক স্হাপত্য কর্ম হিসেবে সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষন করেচে। কেবলমাত্র মুসলিমা জনগোষ্ঠীই নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর পর্যটকগণ এটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে এসে থাকেন।
শাহ ইরানি মাজারঃ বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নে অবস্হিত। হযরত শাহ ইরানী এঁর মাজার শরীফ। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ এখানে উপাসনা করতে আসেন। পর্যটকদের জন্যও এটি লোভনীয় স্থান।
দেওয়ান শরীফ মসজিদঃ নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় অবস্হিত। ১৭১৬ সালে স্হাপিত পাঠান স্থাপত্যের নিদর্শন। দেওয়ান ঈশা খাঁ’র পরবর্তী বংশধর দেওয়ান শরীফ খাঁ এটি নির্মাণ করেন।
ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্তুভিটাঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পাঁচদোনা বাজার সংলগ্ল বুড়ারহাট গ্রামে পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বুড়ারহাটস্থ বাস্ত্তভিটা। গিরিশ চন্দ্র সেন ছিলেন একজন সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদ। তিনি প্রায় সকল ধর্মগ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করেছেন। ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এ মহান ব্যক্তির বাস্তুভিটা বেশ সমাদৃত হয়ে আসছে।





তথ্যসূত্র


উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

























 
Copyright 2009 বাংলাদেশ
Design by BloggerThemes