Powered by Blogger.

Related Post

Translate

Search This Blog

ইন্টারন্যাশনাল ইউ. অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি


ইন্টারন্যাশনাল ইউ. অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি

ড. মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ মিঞা বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে বিবিএ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনপ্রিয় কোর্সগুলো ছাড়াও কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্স করানো হয়।  এছাড়া ইকনোমিকস এবং নার্সিং এর ওপরও কোর্স করানো হয়।

ঠিকানা:
৪, বেড়ীবাঁধ সড়ক, উত্তরা, সেক্টর-১০ (ঢাকা আশুলিয়া সড়কের পাশে)
উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০।

যোগাযোগ:
ফোন: ৮৯৬৩৫২৩-২৭, ৮৯২৩৪৬৯-৭০, ০১৭১৪০১৪৯৩৩
ফ্যাক্স: ৮৯২২৬২৫
ই-মেইল: info@iubat.edu
ওয়েবসাইট: www.iubat.edu

প্রচলিত কোর্সগুলো:
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমকে মোট ছয়টি কলেজে ভাগ করা হয়েছে:

কলেজ অব বিজনেস এ্যাডমিনস্ট্রেশনের (সিবিএ)অধীনে পরিচালিত কোর্সগুলো
  • ব্যাচেলর অব বিজনেস এ্যাডমিনস্ট্রেশন (বিবিএ)
  • মাস্টার অব বিজনেস এ্যাডমিনস্ট্রেশন (এমবিএ)

কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির (সিইএটি)অধীনে পরিচালিত কোর্সগুলো
  • ব্যাচেলর অব কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (বিসিএসই)
  • ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসিই)
  • ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসইইই)
  • ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএমই)

কলেজ অব আর্টস এন্ড সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত কোর্স
  • ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইকোনমিকস )BA Econ)

কলেজ অব ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের অধীনে পরিচালিত কোর্স
  • ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট

কলেজ অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্স-এর অধীনে পরিচালিত কোর্স
  • ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার )BSAG)

কলেজ অব নার্সিং এর অধীনে পরিচালিত কোর্স
  • ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং (BSN)

  • এছাড়া নয়টি টিচিং সেন্টার আছে যেগুলোর অধীনেও বিভিন্ন কোর্স পরিচালিত হয়।
  • কম্পিউটার এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের(সিইটিসি)অধীনে একটি ডিপ্লোমা কোর্স আছে; ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিসিএসই)
  • জানুয়ারি, মে ও সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে স্প্রিং, সামার ও ফল সেমিস্টেরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।


ভর্তির যোগ্যতা
মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা
স্কুল, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে এমবিএ কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। বিবিএ, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএজি, এমবিবিএস, এলএলবি অনার্স, কিংবা যেকোন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলে এমবিএ কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। সকল পরীক্ষায় অন্তত ২য় শ্রেণী বা ৪ স্কেলে ২.৫০ গ্রেড থাকতে হবে। ২ বা ৩ বছর মেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে ব্যাচেলের ডিগ্রীধারীরাও অন্তত ২য় শ্রেণী থাকলে এমবিএ কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে এমবিএ কোর্সের সাথে অতিরিক্ত কিছু কোর্স করতে হয়। আবার তিন বছর মেয়াদী অনার্স ডিগ্রীধারী বা মাস্টার্স ১ম পর্ব সমাপ্ত করেছেন এমন ব্যক্তিরা ২য় শ্রেণী থাকলে এমবিএ কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রেও এমবিএ কোর্সের সাথে অতিরিক্ত কোর্স করার প্রয়োজন হয়। কেউ যদি মনে করেন যে তার ঠিক উপরিউক্ত যোগ্যতা না থাকলেও সমমানের যোগ্যতা আছে তাহলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
 

ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা:
বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগ থেকে ১২ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করা যায়। পলিটেকনিক, কৃষি, নার্সিং বা সাধারণ শিক্ষায় ডিপ্লোমাধারীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় পস করে থাকলে আলিম পাস হতে হবে।
  • এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অন্তত ২য় বিভাগ বা জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে
  • ও লেভেলের তিনটি বিষয় এবং এ লেভেলের দু’টি বিষয়ে সি গ্রেড থাকতে হবে।
  • গড় জিইডি স্কোর ৪৫০ এবং অন্তত পাঁচটি বিষয়ে ৮০০ এর মধ্যে ৪১০ থাকলে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়।
অন্য শিক্ষাব্যবস্থায় সমমানের শিক্ষা গ্রহণ করে থাকলে ভর্তি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

 
ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা:
বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগ থেকে এইচএসসি বা সমমানের কৃষি, পলিটেকনিক, মাদ্রাসা বা অন্য শিক্ষা সম্পন্ন করে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। তবে প্রফেশনাল ডিগ্রীধারী এবং ১৪ বছরের (পাস কোর্স) শিক্ষা সম্পন্নকারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

অন্য শিক্ষাব্যবস্থায় সমমানের শিক্ষা গ্রহণ করে থাকলে ভর্তি অফিস যোগাযোগ করতে হবে।
সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা:
  • বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বা এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ভর্তির ক্ষেত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রী প্রয়োজন, তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমানের প্রশিক্ষণ থাকলেই চলে।
  • কম্পিউটার, ইংরেজী, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি পাশ হলেই চলে।

ভর্তির জন্য আবেদন করা
ভর্তির তথ্য সংক্রান্ত পুস্তিকা এবং ভর্তি ফরমের মূল্য ৫০০ টাকা, যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হয়। অবশ্য ৫৫০ টাকা পাঠিয়ে দিলে ডাকেও ভর্তি ফরম পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রবাসী বাংলাদেশী বা বিদেশী নাগরিকগণ বাইরে থেকে আবেদন করতে চাইলে দিতে হবে ১০ ডলার। কেবলমাত্র ভর্তি ফরম দাখিলের মাধ্যমেও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। তবে পরে ভর্তি ফি দিয়ে একটি ভর্তি ফরম পূরণ করে দিতে হয়। আলাদা একটি এডমিশন প্রসেসিং ফিও দিতে হয়; স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য এটি ২০০০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এটি ৩০ ডলার।

সার্টিফিকেট কোর্সের ভর্তি ফরম এবং ব্রুশিওরের জন্য কোন টাকা লাগে না। সরাসরি অফিস থেকে বা ডাকে এটি সংগ্রহ করা যায়।

নির্বাচন প্রক্রিয়া:
এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল এবং ভর্তি ইন্টারভিউ পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে ভর্তি কমিটি প্রয়োজন মনে করলে লিখিত পরীক্ষাও নেয়। দেশী-বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীর একটি সংমিশ্রণ তৈরির চেষ্টা করা হয় এখানে, অন্তত ২৫% ছাত্রী ভর্তির চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ।

চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচনের পর প্রার্থীকে জানানো হয়, এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল একাডেমিক সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের মূলকপি প্রদর্শন করে ভর্তি ফি ও অন্যান্য ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।
 
লাইব্রেরী:
বিশ্ববিদ্যালয়টির তরফ থেকে লাইব্রেরী ব্যবহারের জন্য বিশেষ উৎসাহ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, এমনকি সাবেক শিক্ষার্থীরাও লাইব্রেরী ব্যবহার করতে পারে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরীটিতে বসে পড়াশোনার জন্য পর্যপ্ত সংখ্যক চেয়ার, টেবিল আছে। শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরী ব্যবহার করতে চাইলে আইডি কার্ড প্রয়োজন হয়।

১৩ হাজারের বেশি বই কোর্স সংশ্লিষ্ট ২০০ জার্নাল, ১০০ ক্যাসেট, ৯০টি ডিভিডি রয়েছে লাইব্রেরীতে। এছাড়া নিয়মিতভাবে ১৯০ টি জার্নাল, সাময়িকী, নিউজলেটার ইত্যাদি রাখা হয়। লাইব্রেরী ব্যবহারকারী কোন বই বা জার্নালের কথা বললে সেটিও লাইব্রেরীতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।

লাইব্রেরীর রেফারেন্স শাখায় বিভিন্ন অভিধান ও বিশ্বকোষ আছে, ১০ টি কম্পিউটার নিয়ে একটি ই-লাইব্রেরী আছে। শিক্ষার্থীরা এই ই-লাইব্রেরীতে পড়াশোনার পাশা পাশাপাশি বই ডাউনলোড করে নিতে পারে। প্রতি তিন মাস পরপর লাইব্রেরীতে নতুন সংযোজিত বই ও জার্নালের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রয়োজনে এখান থেকে বইয়ের প্রয়োজনীয় অংশ ফটোকপি করে নেবার ব্যবস্থা আছে।

বই ধার নিতে চাইলে আলাদা কার্ড প্রয়োজন হয়। শিক্ষার্থীদের একটি লাইব্রেরী ব্যবহার নির্দেশিকা দেয়া হয়। কোর্স শেষে লাইব্রেরী রেকর্ড ক্লিয়ার না থাকলে ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদ দেয়া হয় না ।

সময়সূচি:
  • শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা থাকে।
  • শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে  ছয়টা পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা থাকে।


 
Copyright 2009 বাংলাদেশ
Design by BloggerThemes