বরিশাল জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি ১৭৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশষ্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। একে বাংলার 'ভেনিস' বলা হয়। বরিশাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো]
|
এক নজরে বরিশাল জেলা :
বরিশাল জেলা | |
বরিশাল টাউন হল | |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
স্থানাঙ্ক | 22.8000° N 90.3667° E |
আয়তন | ২৭৯০.৫১ বর্গ কিমি |
সময় স্থান | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
জনসংখ্যা (১৯৯১) - ঘণত্ব - শিক্ষার হার | ২৩৩০৯৬০ - ৮৩৫.৩২/কিমি² - ৪২.৯০% |
ওয়েবসাইট: বরিশাল জেলা তথ্য বাতায়ন | |
মানচিত্র সংযোগ: বরিশাল জেলার প্রাতিষ্ঠানিক মানচিত্র |
নামকরণের ইতিহাস
বরিশালের নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো। আর এই বড় বড় শাল গাছের কারণে (বড় + শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরন হয়েছে। অন্য এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবনের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবনের চৌকিকে 'বরিসল্ট' বলতো। অর্থাৎ বরি (বড়) + সল্ট (লবণ) = বরিসল্ট। আবার অনেকের ধারণা এখানকার লবণের দানাগুলো বড় বড় ছিল বলে 'বরিসল্ট' বলা হতো। পরবর্তিতে এ শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামের উৎপত্তি হয়েছে।
ভৌগোলিক সীমানা
উত্তরে চাঁদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা; দক্ষিণে ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা; পূর্বে লক্ষীপুর, ভোলা জেলা ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, ঝালকাঠিও গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
নদ-নদী
মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, বিষখালী, কীর্তনখোলা, তেতুলিয়া, কালাবদর ইত্যাদি।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
বরিশাল জেলার উপজেলাগুলি হল-
- আগৈলঝারা উপজেলা
- বাকেরগঞ্জ উপজেলা
- বাবুগঞ্জ উপজেলা
- বানারিপাড়া উপজেলা
- গৌরনদী উপজেলা
- হিজলা উপজেলা
- বরিশাল সদর উপজেলা
- মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা
- মুলাদি উপজেলা
- উজিরপুর উপজেলা
ইতিহাস
অর্থনীতি
চিত্তাকর্ষক স্থান
এবাদুল্লাহ মসজিদ, অশ্বনীকুমার টাউনহল, দুর্গাসাগর দিঘী, মুকুন্দ দাসের কালিবাড়ী ,বিবির পুকুর পাড়,গুটিয়া মসজিদ,মাহিলারা মঠ, সংগ্রাম কেল্লা, শরিফলের দুর্গ, শের-ই-বাংলা জাদুঘর, শংকর মঠ, জমিদার বাড়ি (মাধপ পাশা), লন্টা বাবুর দিঘী (লাকুটিয়া)।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আরজ আলী মাতুব্বর, আবদুর রহমান বিশ্বাস, অশ্বিনী কুমার দত্ত, ডঃ সুরেন্দ্র নাথ, ডঃ কামাল হোসেন, বেগম সুফিয়া কামাল,জীবনানন্দ দাশ, রাশেদ খান মেনন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা (অভিনেতা), সুরকার আলতাফ মাহমুদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ্।
তথ্য সুত্র :
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে