Powered by Blogger.

Related Post

Translate

Search This Blog

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা [Brahmanbaria District]


ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

পরিচ্ছেদসমূহ

 [আড়ালে রাখো] 
  •  ভৌগোলিক সীমানা
  •  প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
  •  ইতিহাস
  •  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  •  অর্থনীতি
  •  চিত্তাকর্ষক স্থানসমূহ
  •  আনুসঙ্গিক নিবন্ধ
  •  বহিঃসংযোগ

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা
BD Districts LOC bn.svg
Red pog.svg
ব্রাহ্মনবাড়িয়া
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
স্থানাঙ্ক23.9528° N 91.1167° E
আয়তন১৯২৭.১১ বর্গ কিমি
সময় স্থানবিএসটি (ইউটিসি+৬)
জনসংখ্যা (১৯৯১)
 - ঘণত্ব
 - শিক্ষার হার
২৩৬৫৮৮০
 - ১,২২৭.৬৮/কিমি²
 - ২৬.৬%
ওয়েবসাইট: বাংলাপিডিয়া নিবন্ধ
মানচিত্র সংযোগ: ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার প্রাতিষ্ঠানিক মানচিত্র

[সম্পাদনা]ভৌগোলিক সীমানা

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আয়তন ১৯২৭.৩ ০ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

[সম্পাদনা]প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হলো:
  • আশুগঞ্জ উপজেলা
  • আখাউড়া উপজেলা
  • কসবা উপজেলা
  • নবীনগর উপজেলা
  • নাসিরনগর উপজেলা
  • বাঞ্ছারামপুর উপজেলা
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা
  • সরাইল উপজেলা
  • বিজয়নগর উপজেলা

[সম্পাদনা]ইতিহাস

১৯৮৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্তরে উন্নীত হয়। তার আগে এটি কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবদান অনেক। আবদুল কুদ্দুস মাখন সাহেবের মত ব্যক্তিরা এখানে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেন।

বাংলাদেশের পূর্ব-মধ্য জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেই সাথে চট্টগ্রামের সর্ব উত্তরের জেলা। এক সময় এই জেলা বাংলাদেশের সমতট জনপদের একটি অংশ ছিল। ঈসা খাঁয়ের বাংলায় প্রথম এবং অস্থায়ী রাজধানী ছিল সরাইল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে। কুমিল্লার তিনটি সাব-ডিভিশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৃষ্টি হয় ১৮৬০ সালের বৃটিশ আইনে। ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মুঘল আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসলিন কাপড় তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল।
১৯২১ সালে সমগ্র মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা (১৮৬২-১৯২২) এবং ব্যারিষ্টার আব্দুর রসুল (১৮৭৪-১৯১৭) ছিলেন কংগ্রেস তথা ভারতবর্ষের প্রথম সারির একজন নেতা। উল্লাসকর দত্ত (১৮৮৫-১৯৬৫), সুনীতি চৌধুরী, শান্তি ঘোষ, গোপাল দেবের মত অনেক ত্যাগী ও মহান নেতাদের জন্ম দিয়েছে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আখাউড়ায় শহীদ হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ হল: সরাইলের জামে মসজিদ (১৬৬২), কালভৈরবের মূর্তি (১৯০০ শতাব্দী, উচ্চতা ২৮ ফুট), কেল্লা শহীদের মাজার (১৮০০ শতাব্দী, খরমপুর), উলচাপাড়া জামে মসজিদ (১৬০০ শতাব্দী), ভাদুঘর শাহী জামে মসজিদ (১৬৬৩ খ্রীষ্টাব্দ) ইত্যাদি

[সম্পাদনা]শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজ
  • অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
  • সাবেরা সোবহান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল
  • বিজিএফসিএল স্কুল এন্ড কলেজ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • আনন্দময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

[সম্পাদনা]অর্থনীতি

[সম্পাদনা]চিত্তাকর্ষক স্থানসমূহ

তিতাস নদীর শান্ত প্রকৃতি দেখার মত একটি স্থান। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন করার মত একটি স্থান। আশুগঞ্জ ও ভৈরব বাজারের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর উপর ভৈরব রেলওয়ে সেতু তৈরি হয়েছে তা যে কারও মনে দোলা দেবে। এর পাশ ঘেষেই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এরফলে পূর্বের ফেরিঘাটের তুলনায় প্রায় ২ ঘন্টা সময় সাশ্রয় হয়েছে এবং পূর্বাঞ্চলের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরাট বিপ্লব ও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এছাড়াও, আরাফাইল মসজিদ (সরাইল), উলচাপাড়া মসজিদ (সদর),ভাদুঘর শাহি মসজিদ (সদর), কালভৈরব মন্দির (সদর), বাসুদেব মূর্তি (সরাইল), ঐতিহাসিক হাতিরপুল (সরাইল), খরমপুর মাজার (আখাউড়া), কৈলাঘর দূর্গ (কসবা), কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ (কসবা), বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর (আখাউড়া), সৌধ হিরন্ময়, শহীদ মিনার, তোফায়েল আজম মনুমেন্ট, শহীদ স্মৃতিসৌধ, ভাদুঘর শাহী মসজিদ (সদর), মঈনপুর মসজিদ (কসবা), বাঁশী হাতে শিবমূর্তি (নবীনগর), আনন্দময়ী কালীমূর্তি (সরাইল) এবং আর্কাইভ মিউজিয়াম অন্যতম।
 
Copyright 2009 বাংলাদেশ
Design by BloggerThemes