ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
পরিচ্ছেদসমূহ
|
ফরিদপুর জেলা | |
---|---|
— জেলা — | |
বাংলাদেশের ম্যাপের মধ্যে লাল চিহ্নিত জেলার অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
এলাকা | |
• মোট | বর্গকিলোমিটার ( বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (1991) | |
• মোট | ১৭,১৪,৪৯৬ |
• ঘনত্ব | প্রতি বর্গকিলোমিটারে (প্রতিবর্গমাইলে ) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৭.৪৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+6) |
• গ্রীষ্মকাল (ডিএসটি) | বিডিএসটি (UTC+7) |
ওয়েবসাইট | বাংলাপিডিয়া নিবন্ধ |
ভৌগোলিক সীমানা
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
- ফরিদপুর সদর উপজেলা
- বোয়ালমারী উপজেলা
- আলফাডাঙা উপজেলা
- মধুখালী উপজেলা
- ভাঙ্গা উপজেলা
- নগরকান্দা উপজেলা
- চর ভদ্রাসন উপজেলা
- সদরপুর উপজেলা
- সালথা উপজেলা
[সম্পাদনা]ইতিহাস
১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর জেলা গঠন করা হয়। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গারোদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী *১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)। (১৫১৯-৩২ খ্রিস্টাব্দ), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।[১]
ফরিদপুর থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এখানে নীল কর বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। গড়াই, মধুমতি ও বরশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।
[সম্পাদনা]
প্রত্নসম্পদ
- মথুরাপুর দেউল
- পাতরাইল মসজিদ
- সাতৈর মসজিদ
- শ্রী অঙ্গন
- শিব মন্দির
- দোলমঞ্চ
- নারায়ণ মন্দির
- পঞ্চরত্ন সমাধি
- নব-রত্ন সমাধি
- দুর্গা মন্দির
- কাচারি বাড়ি
- শিকদার বাড়ি
- গেরদা ফলক
[সম্পাদনা]অর্থনীতি
এই এলাকার অর্থনীতি মুলত পাট কেন্দ্রিক । ফরিদপুর পাট এর জন্য বিখ্যাত । ফরিদপুর বাংলাদেশ এর অন্যতম বড় নদী বন্দর। এখান থেকে পাট নদী পথে সারা দেশে চলে যেত।
[সম্পাদনা]চিত্তাকর্ষক স্থান
ফরিদপুর জেলার চিত্তাকর্ষক স্থানগুলার মদ্ধে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে,
- নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
- সুইচ গেট
- ধলার মোড়
- রাজেন্দ্র কলেজ (রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ)
- পদ্মা বাধ
- পল্লী কবি জসীম উদ্দিন এর বাসভবন।
[সম্পাদনা]জনসংখ্যা
মোট জনসংখ্যা: ১৭,১৪,৪৯৬
- পুরুষ: ৫০.৫৫%
- মহিলা: ৪৯.৪৫%
[সম্পাদনা]শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ৪২৪, এই জেলায় শিক্ষার হার ৩৭.৪৪ %
- বিশ্ববিদ্যালয়: ১
- কলেজ: ৪৮
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২৩৪
- মেডিকাল কলেজ : ১
- মাদ্রাসা: ১৪১
- তারার মেলা ঈশাণ মেমরিয়াল আধুনিক শিশু বিদ্যালয়
- ফরিদপুর জিলা স্কুল
[সম্পাদনা]প্রধান শস্য
ফ্রিদপুর জেলায় প্রধান শস্যর তালিকায় রয়েছে, ধান, পাট, গম ও ডাল। এর মধ্যে রপ্তানী যোগ্য পণ্য পাট, পিয়াজ, ডাল, খেজুরের গুড় ইত্যাদি।
[সম্পাদনা]কৃতী ব্যক্তিত্ব
- মুন্সি আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ
- শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পুরোধা এবং বাংলাদেশের জাতির জনক
- আলাওল, মধ্যযুগের কবি
- কাজী মোতাহার হোসেন, শিক্ষাবিদ, পরিসংখ্যানবিন, সাহিত্যিক
- জসীম উদ্দিন, পল্লীকবি
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ঔপন্যাসিক, কবি
- মীর মশাররফ হোসেন, ঔপন্যাসিক
- হাবিবুল বাশার, ক্রিকেটার
- হুমায়ুন কবির, শিক্ষাবিদ
- মৃণাল সেন, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক।
- অমল বোস, অভিনেতা
- রোজিনা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- রিয়াজ, চলচ্চিত্র অভিনেতা (তাঁর জন্ম ফরিদপুর হলেও পৈতৃক বাসস্থান যশোর জেলায়)
- ফজলুর রহমান বাবু , অভিনেতা, গায়ক
- তারেক মাসুদ , চলচ্চিত্রকার
- শাহ আবু জাফর , বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ