নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। প্রাচ্যর ডান্ডী নামে পরিচিত। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অবস্থিত একটি বিখ্যাত নদী বন্দর।
পরিচ্ছেদসমূহ
|
Narayanganj নারায়ণগঞ্জ জেলা | |
---|---|
— জেলা — | |
বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা-এর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: 23.60°উ 90.50°পূস্থানাঙ্ক: 23.60°উ 90.50°পূ | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা |
এলাকা | |
• মোট | বর্গকিলোমিটার ( বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৮,২৯,০০০ |
• ঘনত্ব | প্রতি বর্গকিলোমিটারে (প্রতিবর্গমাইলে ) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৯.৮৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+6) |
• গ্রীষ্মকাল (ডিএসটি) | বিডিএসটি (UTC+7) |
পোষ্টাল কোড | ১৪০০ |
ভৌগোলিক সীমানা
পূর্বে - ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা, পশ্চিমে - ঢাকা, উত্তরে - নরসিংদী ও গাজীপুর এবং দক্ষিণে - মুন্সিগঞ্জ। ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় পাললিক মাটি জাতীয় সমতল ভূমিতে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শহর।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ৭টি থানায় বিভক্ত। সেগুলো হল -
- নারায়ণগঞ্জ সদর,
- ফতুল্লা থানা,
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা,
- বন্দর থানা,
- আড়াইহাজার থানা,
- রূপগঞ্জ থানা ও
- সোনারগাঁও থানা।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় উপজেলা ৫টি। সেগুলো হল -
- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা,
- বন্দর উপজেলা,
- আড়াইহাজার উপজেলা,
- রূপগঞ্জ উপজেলা ও
- সোনারগাঁও উপজেলা।
- * মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৬৩টি,
- * গ্রাম- ১৩৩টি, মহল্লা ৭৪টি।
- * পৌরসভা - ০১টি- সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা।
- * ৫টি ইউ,পি নিয়ে ডি.এন.ডি এলাকা গঠিত। এর আয়তন ৮,৫৪০ একর।
- * সিটি কর্পোরেশন - ০১টি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, বন্দর থানার কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা নিয়ে এ কর্পোরেশন গঠিত হয়েছে)
ইতিহাস
১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে (বেণুর ঠাকুর বা লক্ষীনারায়ণ ঠাকুর নামে ও পরিচিত) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করেন। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি দলিলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ। ১৮৮২ সালে নারায়ণগঞ্জকে মহকুমা করা হয়। ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় উন্নীত হয়। ২০১১ সালের ৫ই মে নারায়ণগঞ্জকে সিটি কর্পোরেশন করা হয় ।
অর্থনীতি
বর্তমানে শহরটি গার্মেন্টস নগরী হিসেবে পরিচিত। নিটওয়্যার রপ্তানীকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। ফতুল্লা এনায়েতনগর এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরীতে প্রায় ৭০০ গার্মেন্টস আছে। সারা নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রায় ১ হাজার রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস আছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ গার্মেন্টসই নিট গার্মেন্টস। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ বিখ্যাত পাট শিল্পের জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আদমজী পাটকল নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। অবশ্য বর্তমানে এই পাটকলটি বন্ধ করে সেখানে আদমজী ইপিজেড গড়ে তোলা হয়েছে। পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন বা বিজেএ এর প্রধান কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। দেশের সবচেয়ে বড় সারের ব্যবসাও নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। এছাড়াগম, আটা ও ময়দা ব্যবসার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও অঞ্চলের জামদানি ও মসলিনের কাপড় তৈরির ইতিহাস প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরোনো। মিশরের মমির শরীরে পেচানো মসলিন এই সোনারগাঁওয়ের তৈরি বলে জানা যায়। বর্তমানে নানা রকম অবহেলার ফলে জামদানি ও মসলিন শিল্প ধ্বংসের পথে।
চিত্তাকর্ষক স্থান
পানাম নগর, সোনারগাঁও
(অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল
সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৮৯-১৪১১)
বাবা সালেহ মসজিদ (১৪৮১)
গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯)
সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪)
হাজীগঞ্জের ঈশা খাঁ কেল্লা
সোনাকান্দা দুর্গ
কাঁচপুর ব্রিজ
কদমরসুল দরগাহ
বন্দর শাহী মসজিদ
(অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল
সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৮৯-১৪১১)
বাবা সালেহ মসজিদ (১৪৮১)
গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯)
সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪)
হাজীগঞ্জের ঈশা খাঁ কেল্লা
সোনাকান্দা দুর্গ
কাঁচপুর ব্রিজ
কদমরসুল দরগাহ
বন্দর শাহী মসজিদ
নির্বাচনী এলাকা
০৩ (তিন) টি, ২০৬ নারায়ণগঞ্জ-৩ (আংশিক), ২০৭ নারায়ণগঞ্জ-৪, ২০৮ নারায়ণগঞ্জ-৫ (আংশিক)।
তথ্যসূত্র
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে