যশোর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর অন্য একটি প্রচলিত বানান যশোহর। ব্রিটিশ আমলে খুলনা ছিল যশোর জেলার অধিভুক্ত একটি মহুকুমা।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো] |
প্রশাসনিক বিভাগ | খুলনা |
আয়তন (বর্গ কিমি) | ২,৫৭৮ |
জনসংখ্যা | মোট: ২৪,৪০,৬৯৩ পুরুষ: ৫১.২২% মহিলা: ৪৮.৭৮% |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: | বিশ্ববিদ্যালয়: ১ কলেজ : ৪৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৩৪৭ মাদ্রাসা : ২৭১ |
শিক্ষার হার | ৩৩.৪ % |
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব | কবি মধুসুদন দত্ত |
প্রধান শস্য | ধান, পাট, ইক্ষু |
রপ্তানী পণ্য | খেজুর গুড়, চামড়া, পাট |
ঐতিহ্য: যশুরে কৈ। |
ভৌগোলিক সীমানা
উত্তরে ঝিনাইদহ জেলা, পূর্বে খুলনা, দক্ষিণে সাতক্ষীরা, পশ্চিমে ভারত।
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
এ জেলায় ৮টি উপজেলা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি পুলিশ থানা রয়েছে।
- যশোর সদর উপজেলা
- অভয়নগর উপজেলা
- কেশবপুর উপজেলা
- চৌগাছা উপজেলা
- ঝিকরগাছা উপজেলা
- বাঘারপাড়া উপজেলা
- মনিরামপুর উপজেলা
- শার্শা উপজেলা
[সম্পাদনা]ইতিহাস
যশোর একটি অতি প্রাচীন জনপদ। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে মিশরীয়রা ভৈরব নদের তীরে এক সমৃদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে তোলে। আনুমানিক ১৪৫০ খ্রীস্টাব্দের দিকে পীর খান জাহান আলী সহ বারজন আউলিয়া যশোরের মুড়লীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। ক্রমে এ স্থানে মুড়লী কসবা নামে একটি নতুন শহর গড়ে উঠে। ১৫৫৫ খ্রীস্টাব্দের দিকে যশোর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যশোর-খুলনা-বনগাঁ এবং কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের অংশ বিশেষ যশোর রাজ্যের অন্তভুর্ক্ত ছিলো। ১৭৮১ খৃষ্টাব্দে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জেলা। ১৮৬৪ সালে ঘোষিত হয় যশোর পৌরসভা। ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে যশোর জিলা স্কুল, ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে যশোর পাবলিক লাইব্রেরি, বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় ও চতুর্থ দশকে যশোর বিমান বন্দর এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কলকাতার সাথে যশোরের রেল-যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলাটি যশোর।
[সম্পাদনা]অর্থনীতি
[সম্পাদনা]বেনাপোল স্থল বন্দর
যশোরের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেনাপোল স্থল বন্দর যা শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বেনাপোলে অবস্থিত। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের সিংহভাগ এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ওপারে আছে পেট্রাপোল। সরকারি আমদানী শুল্ক আহরণে বেনাপোল স্থল বন্দরটির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম সূত্র বেনাপোল স্থল বন্দরের কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এজেন্টের কাজ।
[সম্পাদনা]চিত্তাকর্ষক স্থান
- সাগরদাড়ী, কবি মধুসুদনের বাড়ি[১]
- কেশবপুরের হনুমান গ্রাম
[সম্পাদনা]বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
- কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত
- কবি ফররুখ আহমদ
- কবি গোলাম মোসতফা
- কবি আবুল হোসেন
তথ্যসূত্র
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে