চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। মেঘনা নদীর তীরে এ জেলা অবস্থিত।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো]
|
Chandpur চাঁদপুর | |
---|---|
— District — | |
Location of Chandpur in Bangladesh | |
Coordinates: 23.2139°N 90.6361°ECoordinates: 23.2139°N 90.6361°E | |
Country | Bangladesh |
Division | Chittagong Division |
Area | |
• Total | 1,704.06 km2(657.94 sq mi) |
Population (1991) | |
• Total | 2,210,162 |
• Density | 1,300/km2 (3,400/sq mi) |
Literacy rate | |
• Total | 50.29% |
Time zone | BST (UTC+6) |
• Summer (DST) | BDST (UTC+7) |
Website | Chandpur(চাঁদপুর জেলা) |
[সম্পাদনা]ভৌগোলিক সীমানা
চাঁদপুর জেলা ১৭০৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি উত্তরে মুন্সিগঞ্জ এবং কুমিল্লা, দক্ষিণে নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরিশাল জেলা, পূর্বে কুমিল্লা জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী ও শরিয়তপুর এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা দ্বারা বেষ্টিত। চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য দুটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিশেছে। মেঘনা নদী ডাকাতিয়া নদী, ধোনাগোদা নদী ও মতলব নদীর সাথে যুক্ত।
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
চাঁদপুরে ৭ টি পৌরসভা, ৬০ টি ওয়ার্ড, ১৯৫ টি মহল্লা, ৮ টি উপজেলা, ১ টি থানা, ৮৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১২২৬ টি গ্রাম রয়েছে।
এই জেলা আটটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হচ্ছে:
- চাঁদপুর সদর উপজেলা
- হাজীগঞ্জ উপজেলা
- কচুয়া উপজেলা
- ফরিদগঞ্জ উপজেলা
- মতলব উত্তর উপজেলা
- মতলব দক্ষিণ উপজেলা
- হাইমচর উপজেলা এবং
- শাহরাস্তি উপজেলা
জেলার ৭টি পৌরসভা হলো:
- চাঁদপুর
- হাজীগঞ্জ
- শাহরাস্তি
- ফরিদগঞ্জ
- কচুয়া
- ছেঙ্গারচর
- মতলব
[সম্পাদনা]সংসদীয় আসন
- ২৬০, চাঁদপুর-১ (কচুয়া উপজেলা ও মতলবব (দঃ) এর একাংশ)
- ২৬১, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলবব দক্ষিণ)
- ২৬২, চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর ও হাইমচর)
- ২৬৩, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ)
- ২৬৪, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি)
[সম্পাদনা]উল্লেখযোগ্য হাটবাজার
রঃ পুরাণ বাজার, নতুন বাজার,বাবুরহাট বাজার, কচুয়া বাজার, রহিমানগর বাজার, ফরিদগঞ্জ বাজার, রূপসা বাজার, হাজীগঞ্জ বাজার, সুচিপাড়া বাজার, বেগম বাজার, ওয়ারম্নক বাজার, মতলব বাজার, মুন্শির হাট বাজার (গ্রাম- দিঘলদি ),নায়েরগাঁও বাজার, নারায়নপুর বাজার, খাজুরিয়া বাজার, সুজাতপুর বাজার, ঠাকুর বাজার, ছেংগারচর বাজার, সাচার বাজার।
[সম্পাদনা]স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাব্যবস্থা
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ১টি
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৭টি
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (ICDDR,B) ১টি (মতলব দক্ষিণ)
মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র ৩টি
চক্ষু হাসপাতাল ১টি
বক্ষব্যাধী হাসপাতাল ১টি
ডায়বেটিক হাসপাতাল ১টি
রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল ১টি
রেলওয়ে হাসপাতাল ১টি
বেসরকারি হাসপাতাল ২০টি
বেসরকারি ডেন্টাল ক্লিনিক ৩টি
ডায়গনস্টিক সেন্টার ১০৭টি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৭টি
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (ICDDR,B) ১টি (মতলব দক্ষিণ)
মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র ৩টি
চক্ষু হাসপাতাল ১টি
বক্ষব্যাধী হাসপাতাল ১টি
ডায়বেটিক হাসপাতাল ১টি
রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল ১টি
রেলওয়ে হাসপাতাল ১টি
বেসরকারি হাসপাতাল ২০টি
বেসরকারি ডেন্টাল ক্লিনিক ৩টি
ডায়গনস্টিক সেন্টার ১০৭টি।
[সম্পাদনা]জনসংখ্যা (১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের শুমারিমতে)
মোট: ২২,১০,১৬২ জন, তন্মধ্যে পুরুষ:৪৮.৬৭%, এবং মহিলা: ৫১.৩৩% জন। ধর্মের বিচারে এর মধ্যে মুসলমান: ৯২.৫৫%, হিন্দু: ৭.১৮%, বৌদ্ধ: ০.০৬%, খ্রিস্টান: ০.০৭% এবং অন্যান্য: ০.১৪% রয়েছেন।
[সম্পাদনা]শিক্ষা
শিক্ষার হার ৩৭.৮ %। কলেজ: ৩৯, মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২২০, মাদ্রাসা: ১,১৫৭টি —কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
[সম্পাদনা]অর্থনীতি
চাঁদপুর জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। নদীতীরবর্তী এলাকা বলে প্রায় ৩০% মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত। তাছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক ব্যবসায়ী বিদ্যমান। জেলা সদরে মাছের অনেক আড়ৎ রয়েছে, যা জেলার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি তাছাড়া পুরান বাজারে কিছু চালের মিল, পাটের মিল এবং ছোটখাট বহু শিল্পকারখানা রয়েছে। মেঘনার ভাঙ্গনে প্রতি বছর চাদপুরের আয়তন কমে গেলেও মেঘনা, চাদপুরের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। প্রতি বর্ষায় পানিতে ডুবে যায়, ফলে বর্ষাকালে চাঁদপুর মাছের মাতৃভূমি হয়ে যায়। জেলার প্রধান শস্য ধান, পাট, গম, আখ। রপ্তানী পণ্যের মধ্যে রয়েছে নারিকেল, চিংড়ি, ইলিশ মাছ।
[সম্পাদনা]চিত্তাকর্ষক স্থান
- বড়স্টেশন মোলহেড নদীর মোহনা (চাঁদপুর সদর),
- জেলা প্রশাসকের বাংলোয় অবস্থিত দুর্লভ জাতের নাগলিঙ্গম গাছ।
- চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক ইলিশ চত্বর।
- অঙ্গীকার ভাষ্কর্য
- প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এলাকা ও
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক।
[সম্পাদনা]কৃতী ব্যক্তিত্ব
- লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী (৮ নং সেক্টর কমান্ডার)
- মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম (১ নং সেক্টর কমান্ডার)
- আ: মালেক (ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী সাতারু)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- মিজানুর রহমান চৌধুরী (সাবেক প্রধানমন্ত্রী)
- অশ্বিনী কুমার চক্রবর্তী
- বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান
- কবির বকুল, গীতিকার ও সাংবাদিক
- ড. মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- নাসির উদ্দিন, সম্পাদক, সওগাত
- নূরজাহান বেগম, সম্পাদক, মাসিক বেগম
- সুরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী, জমিদার, ফরিদগঞ্জ জমিদার বাড়ি
- ড. মাহফুজুল হক, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- অধ্যক্ষ এ ডব্লিউ এম তোয়াহা মিয়া, শিক্ষাবিদ