Powered by Blogger.

Related Post

Translate

Search This Blog

পঞ্চগড় জেলা [Panchagarh District]


পঞ্চগড় জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

পরিচ্ছেদসমূহ

 [আড়ালে রাখো

পঞ্চগড় জেলা
BD Districts LOC bn.svg
Red pog.svg
পঞ্চগড়
বিভাগ[[রংপুর বিভাগ]]
স্থানাঙ্ক26.25° N 88.50° E
আয়তন১,৪০৪.৬৩ বর্গ কিমি
সময় স্থানবিএসটি (ইউটিসি+৬)
জনসংখ্যা (১৯৯১)
 - ঘণত্ব
 - শিক্ষার হার
৮২৯,৩৭৪
 - ৫৯০.৪৬/কিমি²
 - ৩০.৬%
ওয়েবসাইটwww.panchagarh.info
মানচিত্র সংযোগপঞ্চগড় জেলার প্রাতিষ্ঠানিক মানচিত্র

[সম্পাদনা]ভৌগোলিক সীমানা

পঞ্চগড় জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলা, পূর্বে নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।[১]

[সম্পাদনা]রাষ্ট্রীয় সীমানা

২৬ ডিগ্রি ২০মিনিট উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮ ডিগ্রি ৩৪ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত পঞ্চগড় "জেলা" হিসেবে নবগঠিত ও আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও এর পারিপার্শ্বিক ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪৭ সালে স্যার সিরিল রেডক্লিফ কর্তৃক নির্দেশিত এই জেলার সীমান্ত রেখা অত্যন্ত আঁকাবাঁকা ও ভঙ্গুর। পঞ্চগড় জেলার তিনদিকেই ভারতীয় সীমান্ত। এই সীমান্ত অঞ্চল ১৮০মাইল বা ২৮৮ কিলোমিটার।[১] জেলার মোট আয়তন ১,৪০৪.৬৩ বর্গ কিঃমিঃ।[২]

[সম্পাদনা]জনপদের নামকরণ

"পঞ্চ" (পাঁচ) গড়ের সমাহার "পঞ্চগড়" নামটির অপভ্রমংশ "পঁচাগড়" দীর্ঘকাল এই জনপদে প্রচলিত ছিল। কিন্তু গোড়াতে এই অঞ্চলের নাম যে, 'পঞ্চগড়ই' ছিলো সে ব্যাপারে সন্দেহ থাকতে পারে না। বস্তুত ভারতীয় উপমহাদেশে "পঞ্চ" শব্দটি বিভিন্ন স্থান নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যেমন- পঞ্চনদ, পঞ্চবটী, পঞ্চনগরী, পঞ্চগৌড় ইত্যাদি। "পঞ্চনগরীর" দূরত্ব পঞ্চগড় অঞ্চল থেকে বেশি দূরে নয়। পঞ্চগড় জেলায় বেশ কিছু গড় রয়েছে তাদের মাঝে উল্লেখ করার মত গড় হল ভিতরগড়, মিরগড়, রাজনগড়, হোসেনগড়, দেবনগড়। ‘পঞ্চ’ অর্থ পাঁচ, আর ‘গড়’ অর্থ বন বা জঙ্গল। ‘পঞ্চগড়’ নামটি এভাবেই এসেছে। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্য দেশ বিভাগের আগেও এই অঞ্চলটি ছিল জনমানুষ বিরল বন-জঙ্গল পূর্ণ, সে জঙ্গলে বাঘও ছিল। মানুষের সংখ্যা বারার সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে দ্রুত।

[সম্পাদনা]প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

[সম্পাদনা]ইতিহাস ও ঐতিহ্য

আধুনিক পঞ্চগড় জনপদটি আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও এর প্রাচীন ও প্রাগৈতিহাসিক ইতিবৃত্ত অত্যন্ত সম্বদ্ধ। অতি প্রাচীন ও প্রাগৈতিহাসিক ইতিবৃত্ত সম্বদ্ধ করেছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্বোত্তরের এই জনপদটিকে। পঞ্চগড় জেলার নামই এর যথার্থ স্বাক্ষ্য বহন করে। হিন্দু ও বৌদ্ধ যুগে পুন্ড্র বর্ধন নগরীর অনতিদূরেই ছিল আজকের পঞ্চগড়ের অবস্থান। ভিন্নমতে, গৌড় রাজ্যকে এক সময় বলা হতো পঞ্চগৌড়।

[সম্পাদনা]শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]পঞ্চগড় সদর উপজেলা

পঞ্চগড় বি পি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারী কলেজ
পঞ্চগড় সরকারী মহিলা কলেজ
পঞ্চগড় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
ডক্টর আবেদা হাফিজ গার্লজ স্কুল এন্ড কলেজ
পঞ্চগড় চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়
কমলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয়

[সম্পাদনা]দেবীগঞ্জ উপজেলা

দেবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ 
দেবীগঞ্জ মহিলা কলেজ
দেবীগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়
অলদিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
ডাঃ মেজর (অবঃ) তনবিরতজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়
দেবীগঞ্জ রিভারভিউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
দেবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

[সম্পাদনা]আটোয়ারী উপজেলা

বলরামপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়
আটোয়ারী মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রি কলেজ
আটোয়ারী মহিলা মহাবিদ্যালয়

[সম্পাদনা]বোদা উপজেলা

পাথরাজ মহাবিদ্যালয়
বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়
বোদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বোদা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নগর কুমারী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সাকোয়া ডিগ্রী কলেজ

[সম্পাদনা]নৃতাত্তিক বৈশিষ্ট্য

১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত এবং বর্তমানে পূর্ণিয়া, পশ্চিম দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলা পরিবেষ্টিত বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তবর্তী পঞ্চগড় জেলার জনগোষ্ঠীর নৃতাত্তিক বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের সামগ্রিক রূপের সঙ্গে অভিন্ন হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র্য ও বৈচিত্র বিদ্যমান। এ জেলার জনপ্রবাহের মধ্যে রয়েছ- হিন্দু ও মুসলিম প্রধান জনধারা, রাজবংশী, কোচ, পলিয়া, সাঁওতাল, ওঁরাও, হাড়ি, ভূইমাল, কামার-কুমার, বেহারা, কাহার, সুনরী প্রভৃতি। এই বিচিত্র জনধারার মিশ্র রূপায়ণেই গড়ে উঠেছে পঞ্চগড় জেলার নৃ-তাত্ত্বিক ভিত্তি।

[সম্পাদনা]চা বাগান

যদিও বাংলাদেশের ভূ-খন্ডে চা চাষ শুরু হয় ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামের ক্লাব প্রাঙ্গণে, ১৮৫৪ সালে নিলেটে বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন শুরু হয়। প্রায় ১৫০ বছর পরে ১৯৯৮ সালে এদেশের একজন শিল্পপতি লেঃ কর্ণেল (অবঃ) কাজী শাহেদ আহমদ পঞ্চগড় অঞ্চলের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের চা চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পঞ্চগড়ের তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সহায়তায় কিছু জমি কিনে চা চাষ শুরু করেন। তিনি চা বাগানের নামকরণ করেন "কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট"। এখানে অর্গানিক পদ্ধতিতে চা উৎপাদিত হয়। সিলেটে চা ভ্যালীতে ইপিলিপিল গাছ সেট ট্রি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পঞ্চগড়ে ঔষধি গাছ সেট ট্রি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট ৬/৭ বছরের মধ্যে চা পাতা আহরণ শুরু করে বছরে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭২ হাজার কেজি চা উৎপাদন করছে। এ অঞ্চলে চা চাষের ক্ষেত্রে কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট অগ্রপথিক। এ কোম্পানীর সফলতা অনুসরণ করে বর্তমানে এখানে আরো ৪টি চা বাগান গড়ে উঠেছে। এগুলো হলো: তেঁতুলিয়া চা কর্পোরেশন লিঃ, স্যালিন্যাল টি এস্টেট, করতোয়া টি এস্টেট ও ডাহুক টি এস্টেট।

[সম্পাদনা]অর্থনীতি

[সম্পাদনা]চিত্তাকর্ষক স্থান

  • ভিতরগড়
  • মহারাজার দিঘী
  • বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির
  • সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগান
  • মির্জাপুর শাহী মসজিদ
  • বার আউলিয়ার মাজার
  • গোলকধাম মন্দির
  • তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো
  • তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার
  • বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর
  • রকস্ মিউজিয়াম
 
Copyright 2009 বাংলাদেশ
Design by BloggerThemes