কুমিল্লা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো] |
কুমিল্লা জেলা | |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
স্থানাঙ্ক | 23.4583° N 91.1833° E |
আয়তন | ২৮০ বর্গ কিমি |
সময় স্থান | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
জনসংখ্যা (২০০৭) - ঘণত্ব - শিক্ষার হার | ৪১৯৬২৩ - ১৪৯৮.৬৫/কিমি² - ৫৫% |
ওয়েবসাইট: বাংলাপিডিয়া | |
মানচিত্র সংযোগ: কুমিল্লা জেলার প্রাতিষ্ঠানিক মানচিত্র |
[সম্পাদনা]অবস্থান
- অবস্থানঃ ২৩০-১" হতে ২৪০-১১" উত্তর অক্ষাংশ ও ৯০০-৩৪" হতে ৯১০-২২" পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
[সম্পাদনা]ভৌগোলিক সীমানা
উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে নোয়াখালী ও ফেনী, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ , চাঁদপুর জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা।
- আয়তনঃ৩০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার।
- আন্তর্জাতিক সীমান্ত দৈর্ঘ্যঃ ১০৬ কিলোমিটার।
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক কাঠামো
- উপজেলা : ১৬ টি (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, বরুড়া, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, চান্দিনা, তিতাস, দাউকিান্দি, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া)
- থানা : ১৬ টি
- সিটি কর্পোরেশন : ০১ টি
- পৌরসভা : ০৮ টি
- ইউনিয়ন : ১৭৮ টি
- গ্রাম : ৩,৬৮৭ টি
- জোত : ৫,৩৪,৩০৭ টি
- মৌজা : ২,৬০৩ টি
- ইউনিয়ন ভূমি অফিস : ১৭২ টি
- হাট-বাজার : ৫৫৫ টি
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কুমিল্লা জেলায় মোট ১টি সিটি করপোরেশন ও১৪ টি উপজেলা রয়েছে। সেগুলো হল -
- কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
- বরুরা
- চান্দিনা
- দাউদকান্দি
- লাকসাম
- ব্রাহ্মণপাড়া
- বুড়িচং
- চৌদ্দগ্রাম
- দেবীদ্বার
- হোমনা
- মুরাদনগর
- লাঙ্গলকোট
- মেঘনা
- তিতাস
- মনোহরগঞ্জ
==জনসংখ্যা== (২০০১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী ) :
- মোট জনসংখ্যা : ৪৫,৯১,৩৪০
- পুরুষ : ২৩,১০,৯৪০
- মহিলা : ২২,৮০,৪০০
- জনসংখ্যার ঘনত্ব ( প্রতি বর্গ কি:মিঃ ) : ১৪৮৭ জন (প্রায়)
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ১.৮% (প্রায়)
[সম্পাদনা]শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য
- বিশ্ববিদ্যালয় : ০১ টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৫১৮ টি
- উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৯০ টি
- মাদ্রাসা : ৩৫৯ টি
- সরকারী মেডিক্যাল কলেজ : ০১ টি
- ক্যাডেট কলেজ : ০১টি
- মেডিক্যাল কলেজ (বেসরকারী) : ০২ টি
[সম্পাদনা]প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সরকারী প্রাথমিক : ১৩৩৩ টি
- রেজিস্টার্ড : ৪৪৯ টি
- আনরেজিস্টার্ড : ১০ টি
- কমিউনিটি : ২০২ টি
- কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় : ২২৬ টি
- অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ
০ কেজি : ৩৩৭ টি
০ উচ্চ মাধ্যমিক সংযুক্ত : ১৬ টি
০ পি টি আই সংযুক্ত : ০১ টি
০ এন.জি.ও পরিচালিত : ৫৪৩ টি
০ সংযুক্ত ইবতেদায়ী : ১৭১ টি
০ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী : ৭১ টি
০ আনন্দ স্কুল : ৪৭৬ (চান্দিনা + নাঙ্গলকোট-৩২৯)
- শিক্ষার হারঃ
- ৬০.৩% (২০০১ সালের শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী)
- স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যঃ
- হাসপাতাল
ক) ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল : ০১ টি
খ) ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালঃ ০১ টি
গ) পুলিশ হাসপাতাল : ০১ টি
ঘ) জেল হাসপাতাল : ০১ টি
ঙ) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল : ০১ টি
- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্সঃ ১১ টি
- পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র : ০১ টি
- টি,বি, ক্লিনিক : ০১ টি
- স্কুল হেলথ ক্লিনিক : ০১ টি
- উপ -স্বাস্থ্য কেন্দ্র : ৪৮ টি
- ডায়াবেটিক সেন্টার : ০১ টি
- ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র : ১২৩টি
- জম্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হারঃ ৬৭.১৫%
- যাতায়াত ব্যবস্থাঃ
- মহাসড়কঃ-১৩২.০০ কি:মি:
- সড়ক ও জনপথ বিভাগঃ-
- পাকা : ৬৪১.০০ কি:মি:
- আধাপাকা : ১৩৬.০০ কি:মি:
- কাঁচা : ৩১০.০০ কি:মি:
- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগঃ
- পাকা : ৭৬৫.০০ কি:মি:
- কাঁচা : ২৪৪৮.০০ কি:মি:
- জেলা পরিষদ সড়কঃ
- পাকা : ২০২৩.০৮ কি:মি:
- কাঁচা : ৪৫২.৩১ কি:মি:
- কুমিল্লা পৌরসভা সড়কঃ
- পাকা : ১১০.০০ কি:মি:
- কাঁচা : ৫.০০ কি:মি:
- লাকসাম পৌরসভা সড়কঃ
- পাকা : ৩২.০০ কি:মি:
- কাঁচা : ৯২.০০ কি:মি:
- রেলপথঃ ২১২.০০ কি:মি:
[সম্পাদনা]রেলওয়ে স্টেশন
কুমিল্লা জেলায় দুটি প্রধান যাত্রাবিরতি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলঃ
- ফেরীঘাটঃ ৩৪ টি
- নদীবন্দরঃ ০১ টি
- যাত্রী ছাউনিঃ- ১৪ টি
- ভূমি সংক্রান্ত তথ্যঃ
- মোট ভূমি : ৭,৬০,১৭৫ একর
- চাষাবাদযোগ্য ভূমি : ৫,৯৩,৩৮০ একর
- চাষের অযোগ্য : ১,৫৩,৯৩৩ একর
- এক ফসলী : ১,৩১,০৬২ একর
- দোফসলী : ৩,৫৫,০৩৭ একর
- তিন ফসলী : ১,০৬,৯৯৪ একর
- সেচের আওতায় : ৩,১৯,৯৪৭ একর
- মোট বনভূমি : ২,১৮১ একর
- শিল্প সংক্রান্ত তথ্যঃ
- বৃহৎ শিল্প :
বস্ত্রকল : ০৭ টি
পাটকল : ০৪ টি
ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্টীল : ৪৯৯টি
পানীয় : ০১ টি
হিমাগার : ২৮ টি
গার্মেন্টস : ০১ টি
সিনেমা হল : ১৯ টি
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পঃ
মোট ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পঃ ১২৫৭০ টি
ক্ষুদ্র শিল্প : ২১৬৯ টি
কুটির শিল্প : ১০৪০১ টি
- শিল্প নগরী : ০২ (দুই) টি
বিসিক শিল্প নগরী, কুমিল্লা
বিসিক শিল্প নগরী, চৌদ্দগ্রাম
- কুমিল্লা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকাঃ কুমিল্লা ই পি জেড এ ৬০টি শিল্প ইউনিট সহ ২০৮টি প্লট তৈরীর পরিকল্পনা আছে যেখানে ৪০,৫০০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।
- প্রাকৃতিক সম্পদ :
কুমিল্লায় রয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিঃ এর মূল স্থাপনা এবং গ্যাস ফিল্ড
- বর্তমান গ্যাস কূপ : ০৮ টি
- প্রথম উৎপাদন : ১৯৮৪ সাল
- আনুমানিক গ্যাস মজুদ : প্রতিদিন ৩০/৩৫ মিলিয়ন কিউবিক ফিট উত্তোলনযোগ্য।
- ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানঃ
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, ময়নামতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও যাদুঘর, ময়নামতি যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র (ওয়ার সিমেট্রি), বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, কুমিল্লা পৌর উদ্যান, শাহ সুজা মসজিদ, ধর্মসাগর দীঘি, বলেশ্বর দীঘি, রূপবানমুড়া, চন্ডিমুড়া, লালমাই বৌদ্ধ বিহার, লালমাই পাহাড়, ময়নামতি পাহাড় প্রভৃতি।
- সেনানিবাস : ০১ টি (ময়নামতি, কুমিল্লা)।
- বিডিআর সেক্টর হেড কোয়ার্টারঃ ০১ টি (কোটবাড়ী, কুমিল্লা)।
- কেন্দ্রীয় কারাগার : ০১ টি
- নগর মিলনায়তন : ০১ টি
- আধুনিক মিলনায়তন : ০১ টি
[সম্পাদনা]ইতিহাস
শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য- সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে এ উপমহাদেশে সুপরিচিত। কুমিল্লার খাদি শিল্প, তাঁত শিল্প, কুটির শিল্প, মৃৎ ও কারু শিল্প, রসমালাই, মিষ্টি, ময়নামতির শীতল পাটি ইত্যাদি স্ব-স্ব ঐতিহ্যে স্বকীয়তা আজও বজায় রেখেছে। কালের বিবর্তনের ধারায় এসেছে অনেক কিছু, অনেক কিছু গেছে হারিয়ে, হারায়নি এখানকার মানুষের আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও সামাজিক সম্প্রীতি।
কুমিল্লা একসময় বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল এবং সেই সময় নোয়াখালীও এর অংশ ছিল। ১৭৩৩ সালে বাংলার নবাব শুজাউদ্দিন ত্রিপুরা রাজ্য আক্রমণ করে এর সমতল অংশ সুবে বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কুমিল্লা দখল করে। ১৭৮১ সালে নোয়াখালীকে কুমিল্লা থেকে পৃথক করা হয়। ১৭৯০ সালে কোম্পানী শাসনামলে ত্রিপুরা নামের জেলার সৃষ্টি। ১৯৬০ সালে জেলার নাম করা হয় কুমিল্লা।
কুমিল্লা জেলা ২৩°-১’’ থেকে ২৪°-১১’’ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯০°-৩৪’’ থেকে ৯১°-২২’’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত। কর্কটক্রান্তি রেখা কুমিল্লা জেলা অতিক্রম করেছে। এই জেলার কিছু অংশ গঠিত হয়েছে প্লাবন ভূমি দ্বারা এবং কিছু অংশ পাহাড়ি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। বাকিটা মূলত সমতলভূমি।
বর্তমান কুমিল্লা জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনস্থ একটি জেলা। শুরুর দিকে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত হলেও পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত মত রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযাগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াঙ কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকে। তার বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া নামক যে স্থানের বিবরণ রয়েছে সেটি থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে জানা যায় খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল।
১৭৬৫ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে আসার পূর্বে মধ্যবর্তী সময়ে মোঘলদের দ্বারা শাসিত হয়েছে কুমিল্লা। ১৭৬৯ সালে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে। তখন ঢাকা প্রদেশের অন্তর্গত ছিলো কুমিল্লা । কুমিল্লাকে ১৭৭৬ সালে কালেক্টরের অধীনস্থ করা হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখন থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ জেলা প্রশাসক করা হয় । ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু'টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]অর্থনীতি
—কুমিল্লা'র অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। এই জেলার অর্থনীতি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলের খাদি কাপড়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। কুমিল্লার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য, কুমিল্লায় গড়ে উঠেছে " কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্ছল" । এটি পুরাতন এয়ারপোর্ট এলাকায় অবস্থিত প্রায় ২৫৮ একর আয়তনের ১ টি প্রকল্প। কুমিল্লার প্রায় ১১‚৬% মানুষ ব্যবসার সাথে জড়িত ।
[সম্পাদনা]চিত্তাকর্ষক স্থান
কুমিল্লা জেলার চিত্তাকর্ষন স্থান গুলোর কথা চিন্তা করলেই প্রথমেই আসে ময়নামতির নাম। এই স্থানটি কুমিল্লার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ময়নামতি ছাড়াও কুমিল্লার ক্যান্টরম্যান্ট এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ হওয়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের কবর রয়েছে। ময়নামতিতে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। এসব বিহার ও মঠ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন টুরিস্ট স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ ছাড়াও আরো অনেক চিত্তার্ষক স্থানের মধ্যে বিখ্যাত হল , কুমিল্লার পৌর পার্ক ও সংলগ্ন রানির কুঠির যা ত্রিপুরা রাজা মানিক্য রায় বাহাদুরের বাড়ী এবং তদসংগ্ন বিশাল দিঘী ধর্ম সাগর। কুমিল্লার কোটবাড়ীতে রয়েছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী যা বার্ড নামে পরিচিত।
[সম্পাদনা]উল্লেখযোগ্য পণ্য
রসমালাই নামক বিখ্যাত মিষ্টি কুমিল্লায় তৈরি করা হয়্। কুমিল্লার রসমলাই সারাদেশে এক নামে পরিচিত। দুধ, ছানা ও চিনি সমন্বয়ে তৈরি এ মিস্টান্ন। যার প্রচলন কুমিল্লাতেই শুরু হয়। এছাড়াও অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি প্রস্ত্ততের জন্য কুমিল্লা বিখ্যাত। রসমলাই এর বিখ্যাত প্রস্তুতকারক হল মাতৃভান্ডার যা কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে মনোহরপুর কালিবাড়ীর ঠিক বিপরীতে অবস্থিত। এছাড়াও কুমিল্লার বিখ্যাত খদ্দর(খাদি) শিল্পের জন্য। ১৯২১ সাল থেকে খদ্দর এ অঞ্চলে প্রচলিত। কুমিল্লার খদ্দর শিল্পগত উৎর্কষে প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিল। এখান থেকে খদ্দর কাপড় কলকাতা ও বোম্বে পাঠানো হত। সারা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কুমিল্লার খদ্দর স্ব-নামে পরিচিত।