দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো] |
Dinajpur দিনাজপুর | |
---|---|
— District — | |
Nickname(s): d | |
Location of Dinajpur in Bangladesh | |
Coordinates: 25.63°N 88.65°ECoordinates: 25.63°N 88.65°E | |
Country | Bangladesh |
Division | Rangpur Division |
Area | |
• Total | 3,437.98 km2(1,327.41 sq mi) |
Population (1991) | |
• Total | 2,617,942 |
• Density | 760/km2 (2,000/sq mi) |
Literacy rate | |
• Total | 27.4% |
Time zone | BST (UTC+6) |
• Summer (DST) | BDST (UTC+7) |
Website | http://dcdinajpur.gov.bd |
[সম্পাদনা]ভৌগোলিক সীমানা
দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যর পশ্চিম দিনাজপুর (উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয়) অবস্থিত। এই জেলার মোট আয়তন ৩৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। বার্ষিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২৫৩৬ মিলিমিটার। প্রধান নদীসমূহ পূনর্ভবা, আত্রাই।
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
দিনাজপুর জেলার উপজেলা গুলি হল
- বিরামপুর উপজেলা
- বীরগঞ্জ উপজেলা
- বোচাগঞ্জ উপজেলা
- ফুলবাড়ী উপজেলা
- চিরিরবন্দর উপজেলা
- ঘোড়াঘাট উপজেলা
- হাকিমপুর উপজেলা
- কাহারোল উপজেলা
- খানসামা উপজেলা
- দিনাজপুর সদর উপজেলা
- নবাবগঞ্জ উপজেলা
- পার্বতীপুর উপজেলা
- বিরল উপজেলা
[সম্পাদনা]ইতিহাস
দিনাজপুর একসময়ে একটি নামকরা জনপদ পুন্দ্রবর্ধনের অংশ ছিল। লাখনাউটির রাজধানি দেভকটের অবস্থান ছিল এর ১১ মাইল দক্ষিনে। ততকালীন ইংরেজ শাসকদের “The British Administrative Control” এখানে ১৭৮৬ সনে গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়ে দিনাজপুরের একটি বড় অংম পশ্চিমবঙ্গে চলে যায় এবং তার নাম হয় পশ্চিম দিনাজপুর জেলা। সেই জেলার জনগনেরা টেভাগা আন্দোলনে অংশগ্রহন করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। একটি খোদাইকরা পাথর (বিশ্বাস করা হয় তা গুপ্ত যুগের), অক্টোবর ৮-টে ঘোড়াঘাট উপজেলার সুরা মসজিদের পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। ব্দ্রুল আলাম বুলন
[সম্পাদনা]শিল্প ও বাণিজ্য
দিনাজপুর একটি কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। সেজন্য এ জেলাতে যেসব শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে তার অধিকাংশই কৃষি ভিত্তিক। দিনাজপুর জেলায় বড় শিল্প ও কারাখানার মধ্যে সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিঃ এবং দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস লিঃ অন্যতম। কৃষিই এই জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের চালিকা শক্তি। কাটারী ভোগ, কালাজিরা চাল, চিড়া, আম ও লিচুর জন্য এই জেলা বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়াও ধানচাষ নির্ভর এই জেলা দেশের সিংহভাগ চালের যোগান দেয়। এজন্য দিনাজপুরকে দেশের শষ্য ভান্ডার বলা হয়। ধান এই জেলার প্রধান কৃষি পণ্য হওয়ায় এই জেলায় শিল্প ও কলকারখানা বলতে প্রায় ২০০০ এর মত চাল কল আছে যার মধ্যে প্রায় ১০০ টির মত অটোমেটিক ও সেমি-অটোমেটিক চাল কল, বাকী সবগুলো চাতাল নির্ভর চাল কল।